এক যে ছিল ছোট্ট মেয়ে নামটা যে তার মিষ্টি
দেখতে যেন মোমের পুতুল গ্রীষ্মকালের বৃষ্টি ।
দুষ্টু ছিল তারই যমজ –দেখতে নয় কো ভাল
বুদ্ধিটাও যে বোকার মতন রঙ টা আবার কালো ।
বাবা-মায়ের আদরের ধন চোখের মনি মিষ্টি
আর একটি মেয়ে এমন কেন একি অনাসৃষ্টি
ভাল জিনিস মিষ্টি পাবে মিষ্টি খাবে আগেতে
আর যা থাকার বেঁচে-বর্তে দুষ্টু পাবে ভাগেতে ।
বাবা-মা তে বেড়াতে যায় মিষ্টি চলে সাথেতে
দুষ্টু যদি বায়না ধরে গাঁট্টা পরে মাথাতে ।
এমনি করে দুই বোনেতে বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে
দুষ্টুর মন বিঁধে থাকে অনাদরের তিরে তিরে ।
বর্ষাকালের এক দুপুরে বাড়ির চাকর রাজকুমার
আছাড় খেলো এমন জোরে ভাঙ্গল যে তার পায়ের হাড়।
পরের দিনে মায়ের গায়ে কোথা থেকে এলো জ্বর
বিপদ দেখে মিষ্টি যেন দেখল চোখে অন্ধকার ।
কেই বা দেবে ভাতটা বেড়ে কেই বা করে রান্না
মামার বাড়ি যাবে বলে মিষ্টি ধরে কান্না ।
কাছে এসে আদর করে দুষ্টু বলে করুণ স্বরে-
মাগো তোমার কোথায় কষ্ট- কেমন করে ধরল জ্বরে !
ডাক্তার রোজ বসেন যে ঐ পাশের বাড়ির দোকান ঘরে
যাব কি মা ছুট্টে আমি, আনব কি মা তাকে ধরে ?
মা ভাবেন কেমন করে এমন পাষাণ ছিলাম আমি –
কত দুঃখ দিয়েছি যে জানেন কেবল অন্তর্যামী।
বুকে ধরে বলেন মানিক তুই যে আমার রত্ন
কোনোদিনই তোকে আমি করিনি তো যত্ন ।
পাশের ঘরে বসে বাবা শোনেন সব ই নিজের কানে
ভগবান আছেন ঠিকই ভাবেন তিনি মনে মনে ।
বাবা মায়ের স্নেহের ধারা সমান ভাগে করে
দুটি মেয়ের ছোট্ট জীবন আদরে দেন ভরে।
দুষ্টু মিষ্টি দুই বোনেতে ঘর করেছে আলো
বাইরের রূপ নাই বা থাকুক- মনের আলো জ্বাল ।
No comments:
Post a Comment